ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামলা আরও জোরদার করেছে ইসরাইলি বাহিনী। দেশটির বর্বর আগ্রাসনে গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ২৫০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে মাগাজি শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি হামলায় নিহত হয়েছেন ১০০ জনেরও বেশি।
সোমবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ইসরাইলের হামলায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় হামলা জোরদার করার সঙ্গে সঙ্গে অঞ্চলটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এর মধ্যে মাগাজি শরণার্থী শিবিরে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ হত্যা করেছে ইসরাইল।
সোমবার গাজা উপত্যকার মাগাজি শরণার্থী শিবিরে এক নারী বলেছেন, ‘আমার পুরো পরিবার চলে গেছে। আমার পাঁচ ভাই সবাই চলে গেছে। তারা আমার পরিবারের কাউকে ছাড়েনি। তাদের সবাই মারা গেছেন!’
সোমবার ইসরাইলি হামলায় নিহত ব্যক্তিদের কাফনে জড়ানো মৃতদেহ স্পর্শ করার জন্য ফিলিস্তিনিরা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়েছিল। নিহত এসব মানুষের মধ্যে অনেক নারী ও শিশু ছিল। গাজায় আলজাজিরার প্রতিবেদক বলেছেন, মাগাজি শরণার্থী শিবিরে নিহতের সংখ্যা এখন ১০০ ছাড়িয়ে গেছে।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানায়, মাগাজি ক্যাম্পে আবাসিক চত্বরে ইসরাইলি হামলায় কয়েকটি পরিবার নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। মাগাজির বাসিন্দা জেয়াদ আওয়াদ, আল জাজিরাকে বলেন, ‘ইসরাইলি সেনাবাহিনী বেসামরিক মানুষকে রেহাই দিচ্ছে না। আমার সন্তান আমাকে বলল, ‘আমাকে সাহায্য কর! আমি শ্বাস নিতে পারছি না।’
ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে চলমান লড়াইয়ের মধ্যে গাজায় বড়দিনের আগের রাতে সবচেয়ে তীব্র বোমা হামলা করা হইয়েছে। এই হামলায় অনেক ভবন মাটিতে মিশে যায় এবং অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েন।
আল জাজিরার সংবাদদাতা হিন্দ খুদারি মাগাজি থেকে বলেন, ‘হামলায় তিনতলা একটি বিল্ডিংকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল এবং আশপাশের আরও কয়েকটি বাড়ি ও ভবনকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হইয়েছে। এক পরিবারের পাঁচজন সদস্য এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছেন। আটকে পড়াদের মধ্যে একজন শিশুও রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ বলছে- সোমবার থেকে কোনো অ্যাম্বুলেন্স বা সিভিল ডিফেন্স সেখানে নেই এবং তারা এটি সম্পর্কে কিছুই করতে পারবে না। অনেকে তাদের নিজের খালি হাতে ধ্বংসস্তূপ খনন করার চেষ্টা অনেক করছেন।
0 Comments