নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান জানান, নির্বাচনে কোনো ধরনের কারচুপি করার সুযোগ দেওয়া হবে না।
কোনো কেন্দ্রে যদি একটিও জাল ভোট হয়, তার প্রমাণ সাপেক্ষে ওই কেন্দ্রের নির্বাচন বন্ধ এবং কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হবে।
একইসঙ্গে ওই কেন্দ্রের নির্বাচনী কাজে থাকা সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে পিরোজপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ঝালকাঠী, পিরোজপুর দুই জেলার ৫টি আসনের এমপি প্রার্থী ও নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের নিয়ে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলীর সভাপতিত্বে পিরোজপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক-সাইফ মিজান স্মৃতি সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ওই মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বরিশাল রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি মো. জামিল হাসান,ঝালকাঠী জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা (ডিসি) ফারাহ গুল নিঝুম,ঝালকাঠী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আফরুজুল হক টুটুল, পিরোজপুর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা (ডিসি) মোহাম্মাদ জাহেদুর রহমান, পিরোজপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম প্রমুখ।
সভায় নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, নির্বাচনের দায়িত্ব পালনকালে কোনো সংবাদকর্মীদের কোন প্রকার বাধা দেওয়া বা ক্ষতি হলে অভিযুক্তকে কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। নির্বাচন সম্পূর্ণ প্রভাবমুক্ত রাখা হবে। নির্বাচনের গোপন বুথ ছাড়া সব স্থানে সাংবাদিকরা যেতে, ছবি তুলতে এবং সংবাদ প্রচার করতে পারবেন। আমরা বিশ্ববাসীকে একটি অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে চাই। এই নির্বাচনকে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করে অনুকরণীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে চাই।
এর আগে পিরোজপুর জেলার ৩টি আসন এবং ঝালকাঠী জেলার ২টি আসনের প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা করেন ইসি।
0 Comments