সংসার চালাতে চা বিক্রি করেন বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের ময়না গ্রামের স্মৃতি আক্তার।
বোয়ালমারীর কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজের কারিগরি বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন স্মৃতি আক্তার। সে তাল গাছের কারবারি মো: হারুন শেখের মেয়ে। তারা এক ভাই দুই বোন। বড় বোন মনিকা আক্তার হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অনার্স পাশ করেন ফরিদপুরের সারদা সুন্দরী কলেজ থেকে । দারিদ্র্যতার সাথে সংগ্রাম করে লেখাপড়া করতে হয়েছে তাকেও। স্মৃতিদের বাড়ি ময়না বাজারের পাশেই। সংসার চালানোর জন্য স্মৃতি ও তার বোন মনিকা দুজনে চা বিক্রির একটা দোকান চালান।
মা আসমা আক্তার "দৈনিক বাংলার স্বাধীনতা" নিউজ কে জানান, তার শ্বশুর বাড়ির পাশে প্রায় ৩০ বছর আগে মুদি দোকান করতেন। কিন্তু তিনি মারা যাওয়ার পরে তার স্বামী হারুন শেখ দোকান পরিচালনা করেন। ছোটবেলা থেকে মেয়েরা তাকে সহায়তা করতো। তবে দোকান করে সংসার চালানো কষ্টকর হওয়ায় এ দোকান ছেড়ে দিয়ে তাল গাছ বেচাকেনার ব্যবসা শুরু করেন মো: হারুন শেখ। তাও পরিবারের অভাব দূর না হওয়ায় বাবার বদলে দুই মেয়ে বাড়ির পাশে গড়ে তোলেন ছোট একটি চায়ের স্টল।
স্মৃতি বলেন, পরিবারের এবং পড়ালেখা খরচ জোগানোর জন্য তারা দু’বোন বাড়ির পাশে চা বিক্রির কাজ করেন। প্রথম একটু সমস্যা থাকলেও এখন অভ্যস্ত হয়ে গেছে তাদের। সারাদিনে চা বিক্রি এবং পড়ালেখা দুটিই করতে হতো তাদের।
স্মৃতি আরো বলেন,, ‘রাতে যতটুকু সময় পাই তা কাজে লাগাতো তারা। এভাবেই তারা দু’বোন ভবিষ্যৎ গড়ার পথ বেছে নিয়েছি। কিন্তু অর্থের অভাবে ইচ্ছে থাকলেও পড়ালেখা চালিয়ে যেতা পারি না।’
স্মৃতির বাবা হারুন শেখ "দৈনিক বাংলার স্বাধীনতা" নিউজ কে জানান, মেয়েদের এ সাফল্যে তিনি খুবই আনন্দিত। এর আগে তার বড় মেয়ে মনিকা আক্তার অনার্স পাশ করায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাকে ৫০(পঞ্চাশ) হাজার টাকা অনুদান দেন। ওই টাকা তাদের সংসার এবং পড়ালেখাই অনেক ভূমিকা রাখে। আর্থিক সঙ্কটই তার মেয়েদের উচ্চশিক্ষা লাভে বড় বাধা। এই বাধা না থাকলে তারা আরো ভালো ফলাফল করতে পারতো।
1 Comments