সড়ক দুর্ঘটনায় প্রান গেল চার শ্রমিকের

চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ায় যাত্রীবাহী পিকনিক বাস ও পিকআপ ভ্যানের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ। এতে পিকআপ ভ্যানে থাকা চার যাত্রী ঘটনাস্থলে প্রাণ হারিয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও চার যাত্রী। তারা সবাই দিনমজুর ও শ্রমিক শ্রেণির লোক। বৃহস্পতিবার সকালের দিকে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার হারবাং ইউনিয়নের উত্তর হারবাংয়ের কলাপাড়া নামক স্থানে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনাটি সংঘটিত হয়।

নিহতরা হলেন– মো. রিদুয়ান হারবাং ইউনিয়নের উত্তর হারবাংয়ের করমুহুরী পাড়ার মোস্তাক আহমদের পুত্র,আবু বক্কর পূর্ব বৃন্দাবনখিলের সামাজিক পাড়ার মৃত রশিদ আহমদের পুত্র, মো. মহিউদ্দিন উত্তর হারবাংয়ের বত্তাতলী গ্রামের মোজাফফর আহমদের পুত্র ও মো. জয়নাল সামাজিক পাড়ার বাদশা মিয়ার পুত্র। সবাই ছিলেন নির্মাণশ্রমিক এবং যাচ্ছিলেন লোহাগাড়ার চুনতি এলাকায় নির্মানাধিন ভবনের ঢালাই কাজের জন্য।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গাজীপুরের টঙ্গী এলাকা থেকে ভ্রমনের উদ্ধেশ্যে আসা যাত্রীবাহী বাসে (ঢাকা মেট্রো–ব–১৩–১৩৫১) করে কক্সবাজার যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার উত্তর হারবাং কলাতলী বিপরীত দিক থেকে আসা যাত্রীবাহী পিকআপ ভ্যানের (চট্টমেট্রো–ন–১১–১৭৮৯) মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান পিকআপ ভ্যানের চার যাত্রী। আহত হন আরও চার যাত্রী। অপরদিকে কক্সবাজারগামী পিকনিক বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক থেকে গর্তে নেমে যাওয়ায় এই বাসের সকল যাত্রী অক্ষত রয়েছেন।

টঙ্গী থেকে কক্সবাজারগামী বাসের একজন যাত্রী জানান, তারা আনন্দ ভ্রমণের উদ্দেশ্যে কক্সবাজার যাচ্ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ তাদের বাসটি দুর্ঘটনার সম্মুখিন হলেও ভেতরে থাকা সবাই অক্ষত রয়েছেন।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সাব–অফিসার সেলিম উদ্দীন বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।

মহাসড়কের চিরিঙ্গা হাইওয়ে থানার এসআই খোকন কান্তি রুদ্র  জানান, ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় চারজন নিহত ও আহত হন আরও চারজন। আহতদের সবাই পিকআপ ভ্যানের যাত্রী ছিলেন। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পর পরই দ্রুত সেখানে গিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত গাড়ি দুটি মহাসড়ক থেকে সরিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। এই ঘটনায় পিকনিক বাস ও পিকআপ ভ্যানটি জব্দ করা হয়।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, দুইটি গাড়ির চালক ও সহকারী পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।