কাতারে জিম টেলিভিশন (আল জাজিরা চিলড্রেনস চ্যানেল) এর উদ্যোগে আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় সারা বিশ্ব থেকে প্রায় লক্ষাধিক হাফেজ ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেছে। এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে অবশ্যই ৯-১৩ বছরের মধ্যে হতে হবে । শুধুমাত্র ১৬ জন হাফেজ সরাসরি কাতারে মূল অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) প্রতিযোগিতার ফাইনাল পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতার সকল পর্ব আল জাজিরা চিলড্রেনস চ্যানেলে ও প্রচারিত হয়। এই প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে ৫০,০০০ কাতারি রিয়াল পেয়েছে বাংলাদেশের হাফেজ মুশফিকুর রহমান।
সিনিয়র শিক্ষক ক্বারী মাহমুদুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হাফেজ মুশফিকুর রহমান ঢাকা যাত্রাবাড়ীর তাহফিজুল কুরআন ওয়াসসুন্নাহ মাদরাসার ছাত্র এবং আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত শায়েখ ক্বারী নাজমুল হাসানের ছাত্র।
হাফেজ মুশফিকুর রহমান তার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, বিশ্বের বুকে দেশের সুনাম বয়ে আনতে পারায় সে উজ্জীবিত। দেশের সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন যেন মহান আল্লাহতালা যেন তাকে দীনের দায়ী হিসেবে কবুল করেন ।
মাদরাসার মুহতামিম শায়েখ ক্বারী নাজমুল হাসান জানান, হাফেজ মুশফিকুর রহমান একজন আদর্শ ছাত্র। পড়াশোনায় খুব মনোযোগী । আশাকরি ভবিষ্যতে সে দেশের জন্য আরও পুরষ্কার নিয়ে আসবে।
আন-নুর আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতার মুল লক্ষ্য শিশুদের মধ্যে উচ্চতর ও নৈতিক মূল্যবোধ অর্জনে উদ্বুদ্ধ করা। পাশাপাশি আরবি ভাষার সঠিক ব্যবহার প্রচার এবং শিশুদের কুরআন অধ্যয়ন ও তেলওয়াতে আরো বেশি উৎসাহিত করা।
গত বছর সৌদি আরবের মক্কায় অনুষ্ঠিত ৪৩তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চতুর্থ বিভাগে চতুর্থ স্থান অর্জন করেছে হাফেজ মুশফিকুর রহমান। পুরস্কার হিসেবে সে পেয়েছিল (এক লাখ বিশ হাজার) সৌদি রিয়াল, সম্মাননা পদক ও সনদ ।
একই মাদরাসার ছাত্র হাফেজ মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান কুরআন ফাউন্ডেশন আয়োজিত জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় হয়েছে। এই প্রতিযোগিতায় সারাদেশের প্রায় ২০ হাজার প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেছিলেন।
0 Comments